য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র
বিশ্বযাত্রী রবীন্দ্রনাথ
য়ুরােপ-প্রবাসীর পত্র
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ
কলিকাতা
© বিশ্বভারতী
প্রকাশক শ্রীজগদিশ ভৌমিক
বিশ্বভারতী। ৬ আচার্য জগদীশ বসু রোড। কলিকাতা ১৭
মুদ্রক স্বপ্না প্রিণ্টিং ওয়ার্কস প্রাইভেট লিমিটেড
৫২ রাজা রামমােহন রায় সরণী। কলিকাতা ৯
‘য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র’ গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংলন্ড্-গমন ও প্রবাসযাপনের (১৮৭৮-৮০) বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে। গ্রন্থে সংকলনের পূর্বে ভারতী পত্রিকার বৈশাখ ১২৮৬ - শ্রাবণ ১২৮৭ সংখ্যায় ইহার ধারাবাহিক প্রচার। কবির জীবনকালে এই গ্রন্থ পুনর্মুদ্রিত হয় নাই। রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক সম্পাদিত সারাংশ মাত্র, অনুরূপ-ভাবে সম্পাদিত ‘য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি’র সারাংশ - সহ, ১৩৪৩ আশ্বিনে ‘পাশ্চাত্য ভ্রমণ’ গ্রন্থরূপে প্রচারিত হয়। বর্তমানে ‘য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি’র ন্যায় ‘য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র’ও প্রথম সংস্করণের অনুসরণে পুনর্মুদ্রিত হইল। পাশ্চাত্যভ্রমণ গ্রন্থের ‘ভূমিকা’ ও বর্তমান-গ্রন্থ-সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য গ্রন্থশেষে সংকলিত।
প্রথম প্রকাশ: ১২৮৮: ১৮০৩ শক
‘রবীন্দ্র-গ্রন্থাবলী’-ভূক্ত-পুনর্মুদ্রণ: ১৩১১
রবীন্দ্রশতবর্ষপূর্তি সংস্করণ: পৌষ ১৩৬৭ বঙ্গাব্দ: ১৮৮২ শকাব্দ
পুনর্মুদ্রণ ভাদ্র ১৩৯৩: ১৯০৮ শক
© বিশ্বভারতী
বিষয়সূচী | ||
প্রথম পত্র | পৃষ্ঠা ১ | |
দ্বিতীয় পত্র | ২০ | |
তৃতীয় পত্র | ২৮ | |
চতুর্থ পত্র | ৪০ | |
পঞ্চম পত্র | ৪৯ | |
ষষ্ঠ পত্র | ৮৪ | |
সপ্তম পত্র | ১১০ | |
অষ্টম পত্র | ১২৯ | |
নবম পত্র | ১৪১ | |
দশম পত্র | ১৬৮ | |
একাদশ পত্র | ১৮০ | |
দ্বাদশ পত্র | ১৯০ | |
ত্রয়োদশ পত্র | ২০০ | |
পরিশিষ্ট | ২১৫ | |
গ্রন্থপরিচয় | ২১৯ |
চিত্র
রবীন্দ্রনাথ। সতেরাে বৎসর বয়সে
বিলাতে রবীন্দ্রনাথ
প্রথম প্রকাশের
ভূমিকা
বন্ধুদের দ্বারা অনুরুদ্ধ হইয়া এই পত্রগুলি প্রকাশ করিলাম। প্রকাশ করিতে আপত্তি ছিল—কারণ, কয়েকটি ছাড়া বাকি পত্রগুলি ভারতীর উদ্দেশে লিখিত হয় নাই, সুতরাং সে সমুদয়ে যথেষ্ট সাবধানের সহিত মত প্রকাশ করা যায় নাই; বিদেশীয় সমাজ প্রথম দেখিয়াই যাহা মনে হইয়াছে তাহাই ব্যক্ত করা গিয়াছে। কিন্তু ইহাতে, আর কোনো উপকার হউক বা না হউক, একজন বাঙালি ইংলন্ডে গেলে কিরূপে তাহার মত গঠিত ও পরিবর্তিত হয় তাহার একটা ইতিহাস পাওয়া যায়।
আমার মতে যে ভাষায় চিঠি লেখা উচিত সেই ভাষাতেই লেখা হইয়াছে। আত্মীয়স্বজনদের সহিত মুখামুখি এক-প্রকার ভাষায় কথা কহা ও তাঁহারা চোখের আড়াল হইবামাত্র আর-এক-প্রকার ভাষায় কথা কহা কেমন অসংগত বলিয়া বোধ হয়।
পূজনীয় ভারতীর সম্পাদক মহাশয় আমার পত্রের উত্তরে তাঁহার যে-সকল অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহাও পুস্তকে নিবিষ্ট হইল। সকল বিষয়েরই দুই পক্ষ আছে। উভয় পক্ষই পাঠকদের দেখা আবশ্যক।
এই পুস্তক ছাপা হইবার সময় নানা কারণে আমি কোনোমতেই নিজে তদারক করিতে পারি নাই, এই নিমিত্ত ইহাতে ভুল আছে বলিয়া সন্দেহ হইতেছে। এই অপরিহার্য ত্রুটি পাঠকেরা মার্জনা করিবেন।
উপহার
ভাই জ্যোতিদাদা,
ইংলন্ডে যাঁহাকে সর্বাপেক্ষা অধিক মনে পড়িত, তাঁহারই হস্তে এই পুস্তকটি সমৰ্পণ করিলাম।
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।