শিশু ভোলানাথ

শিশু ভোলানাথ

শিশু ভােলানাথ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ
কলিকাতা


প্রকাশ ১৯২২
পুনর্মুদ্রণ আশ্বিন ১৩৩৮
সংস্করণ আষাঢ় ১৩৫০
পুনর্মুদ্রণ পৌষ ১৩৫২, মাঘ ১৩৫৫, চৈত্র ১৩৫৬, পৌষ ১৩৫৮, মাঘ ১৩৬০
আশ্বিন ১৩৬২, শ্রাবণ ১৩৬৪, জ্যৈষ্ঠ ১৩৬৭, মাঘ ১৩৬৮, অগ্রহায়ণ ১৩৭০
বৈশাখ ১৩৭২, ফাল্গুন ১৩৭৪, ফাল্গুন ১৩৭৭, অগ্রহায়ণ ১৩৮১
চৈত্র ১৩৮৪, মাঘ ১৩৮৭, আষাঢ় ১৩৯০, আষাঢ় ১৩৯২
বৈশাখ ১৩৯৪, অগ্রহায়ণ ১৩৯৫
শ্রাবণ ১৩৯৭, ভাদ্র ১৪০১
চৈত্র ১৪০৩


© বিশ্বভারতী
ISBN 81-7522-048-1


প্রকাশক শ্রীঅশোক মুখোপাধ্যায়
বিশ্বভারতী। ৬ আচার্য জগদীশ বসু রোড। কলকাতা ১৭


মুদ্রক শ্রীজয়ন্ত বাক্‌চি
পি. এম. বাক্‌চি অ্যাণ্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড
১৯ গুলু ওস্তাগর লেন। কলকাতা ৬

শিরোনাম-সূচী
অন্য মা ৬১
ইচ্ছামতী ৫৮
খেলা-ভোলা ৩৯
ঘুমের তত্ত্ব ৭০
জ্যোতিষী ৩৬
তালগাছ ১৮
দুই আমি ৭৩
দুয়োরানী ৬৪
দূর ৫০
দুষ্টু ৫৬
পথহারা ৪২
পুতুল ভাঙা ২৮
বাউল ৫২
বাণীবিনিময় ৭৯
বুড়ি ২০
বৃষ্টি রৌদ্র ৮২
মনে পড়া ২৬
মর্তবাসী ৭৫
মুর্খু ৩০
রবিবার ২৩
রাজমিস্ত্রি ৬৭
রাজা ও রানী ৪৮
শিশু ভোলানাথ
শিশুর জীবন ১১
সংশয়ী ৪৬
সময়হারা ২৫
সাত-সমুদ্র-পারে ৩৪

প্রথম ছত্রের সূচী
আজকে আমি কত দূর যে ৪২
আমার মা না হয়ে তুমি ৬১
ইচ্ছে করে, মা, যদি তুই ৬৪
এক ষে ছিল চাঁদের কোণায় ২০
এক যে ছিল রাজা ৪৮
ওই-যে রাতের তারা ৩৬
ওরে মোর শিশু ভোলানাথ
কাকা বলেন, সময় হলে ৭৫
কোথায় যেতে ইচ্ছে করে ৪৬
ছোটো ছেলে হওয়ার সাহস ১১
জাগার থেকেই ঘুমোই, আবার ৭০
ঝুঁটিবাঁধা ডাকাত সেজে ৮২
তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে ১৮
তুই কি ভাবিস, দিনরাত্তির ৩৯
তোমার কাছে আমিই দুষ্টু ৫৬
দূরে অশথতলায় ৫২
দেখছ না কি নীল মেঘে আজ ৩৪
নেই বা হলেম যেমন তোমার ৩০
পুজোর ছুটি আসে যখন ৫০
বয়স আমার হবে তিরিশ ৬৭
বৃষ্টি কোথায় নুকিয়ে বেড়ায় ৭৩
মাকে আমার পড়ে না মনে ২৬
মা, যদি তুই আকাশ হতিস ৭৯
যখন যেমন মনে করি ৫৮
যত ঘণ্টা, যত মিনিট ২৫
'লাত আট্‌টে সাতাশ’ আমি ২৮
সোম মঙ্গল বুধ এরা সব ২৩

‘শিশু ভোলানাথ’ গ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা ‘মৌচাক’ ‘সন্দেশ’ ‘প্রবাসী’ ‘বঙ্গবাণী’ ‘রংমশাল’ ‘শ্রেয়সী' প্রভৃতি সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল। ‘সময়হারা’ কবিতাটি ১৩৩০ বৈশাখের ‘সন্দেশ’ পত্রিকা হইতে আষাঢ় ১৩৫০ সংস্করণে নূতন সংকলিত হইয়াছে।

 ‘শিশু ভোলানাথ’ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘যাত্রী’র ‘পশ্চিম যাত্রীর ডায়ারি’ অংশে লিখিয়াছেন-

 একজন অপরিচিত যুবকের সঙ্গে একদিন এক মোটরে নিমন্ত্রণসভায় যাচ্ছিলুম। তিনি আমাকে কথাপ্রসঙ্গে খবর দিলেন যে, আজকাল পদ্য আকারে যে-সব রচনা করছি সেগুলি লোকে তেমন পছন্দ করছে না। তাদের সুযোগ্য প্রতিনিধিস্বরূপে তিনি উল্লেখ করলেন তাঁর কোনো কোনো আত্মীয়ের কথা, সেই আত্মীয়েরা কবি; আর, যে-সব পদ্যরচনা লোকে পছন্দ করে না তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন আমার গানগুলো আর আমার ‘শিশু ভোলানাথ’-নামক আধুনিক কাব্যগ্রন্থ। তিনি বললেন, আমার বন্ধুরাও আশঙ্কা করছেন আমার কাব্য লেখবার শক্তি ক্রমেই ম্লান হয়ে আসছে।

 কালের ধর্মই এই। মর্ত্যলোকে বসন্তঋতু চিরকাল থাকে না। মানুষের ক্ষমতার ক্ষয় আছে, অবসান আছে। যদি কখনো কিছু দিয়ে থাকি, তবে মূল্য দেবার সময় তারই হিসাবটা স্মরণ করা ভাল। রাত্রিশেষে দীপের আলো নেববার সময় যখন সে তার শিখার পাখাতে বার-কতক শেষ ঝাপটা দিয়ে লীলা সাঙ্গ করে, তখন আশা দিয়ে নিরাশ করবার দাবিতে প্রদীপের নামে নালিশ করাটা বৈধ নয়। দাবিটাই যার বেহিসাবি, দাবি অপূরণ হবার হিসাবটাতেও তার ভূল থাকবেই। পঁচানব্বই বছর বয়সে একটা মানুষ ফস্ করে মারা গেল বলে চিকিৎসাশাস্ত্রটাকে ধিক্‌কার দেওয়া বৃথা বাক্যব্যয়। অতএব, কেউ যদি বলে আমার বয়স যতই বাড়ছে আমার আয়ু ততই কমে যাচ্ছে, তা হলে তাকে আমি নিন্দুক বলি নে, বড়ো জোর এই বলি যে, লোকটা বাজে কথা এমনভাবে বলে যেন সেটা দৈববাণী। কালক্রমে আমার ক্ষমত হ্রাস হয়ে যাচ্ছে, এই বিধিলিপি নিয়ে, যুবক হোক, বৃদ্ধ হোক, কবি হোক, অকবি হোক, কারো সঙ্গে তকরার করার চেয়ে ততক্ষণ একটা গান লেখা ভালো মনে করি, তা সেটা পছন্দসই হোক আর না হোক। এমন-কি, সেই অবসরে ‘শিশু ভোলানাথ’এর জাতের কবিতা যদি লিখতে পারি, তা হলেও মনটা খুশি থাকে।...


 ...ঐ ‘শিশু ভোলানাথ’এর কবিতাগুলো খামকা কেন লিখতে বসেছিলুম। সেও লোকরঞ্জনের জন্যে নয়, নিতান্ত নিজের গরজে।

 পূর্বেই বলেছি, কিছুকাল আমেরিকার প্রৌঢ়তার মরুপারে ঘোরতর কার্যপটুতার পাথরের দুর্গে আটকা পড়েছিলুম। সেদিন খুব স্পষ্ট বুঝেছিলুম, জমিয়ে তোলবার মতো এত বড়ো মিথ্যে ব্যাপার জগতে আর কিছুই নেই। এই জমাবার জমাদারটা বিশ্বের চিরচঞ্চলতাকে বাধা দেবার স্পর্ধা করে; কিন্তু কিছুই থাকবে না, আজ বাদে কাল সব সাফ হয়ে যাবে। যে স্রোতের ঘূর্ণিপাকে এক-এক জায়গায় এইসব বস্তুর পিণ্ডগুলোকে স্তূপাকার করে দিয়ে গেছে, সেই স্রোতেরই অবিরত বেগে ঠেলে ঠেলে সমস্ত ভাসিয়ে নীল সমুদ্রে নিয়ে যাবে— পৃথিবীর বক্ষ সুস্থ হবে। পৃথিবীতে সৃষ্টির যে লীলাশক্তি আছে সে-যে নির্লোভ, সে নিরাসক্ত, সে অকৃপণ; সে কিছু জমতে দেয় না, কেননা জমার জঞ্জালে তার সৃষ্টির পথ আটকায়; সে যে নিত্যনূতনের নিরন্তর প্রকাশের জন্যে তার অবকাশকে নির্মল করে রেখে দিতে চায়। লোভী

মানুষ কোথা থেকে জঞ্জাল জড়ো ক'রে সেইগুলোকে আগলে রাখবার জন্যে নিগড়বদ্ধ লক্ষ লক্ষ দাসকে দিয়ে প্রকাণ্ড সব ভাণ্ডার তৈরি করে তুলেছে। সেই ধ্বংসশাপগ্রস্ত ভাণ্ডারের কারাগারে জড়বস্তুপুঞ্জের অন্ধকারে বাসা বেঁধে সঞ্চয়গর্বের ঔদ্ধত্যে মহাকালকে কৃপণটা বিদ্রূপ করছে; এ বিদ্রূপ মহাকাল কখনোই সইবে না। আকাশের উপর দিয়ে যেমন ধুলানিবিড় আঁধি ক্ষণকালের জন্যে সূর্যকে পরাভূত করে দিয়ে তার পরে নিজের দৌরাত্ম্যের কোনো চিহ্ন না রেখে চলে যায়, এ-সব তেমনি করেই শূন্যের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

 কিছুকালের জন্যে আমি এই বস্তু-উদ্‌গারের অন্ধযন্ত্রের মুখে এই বস্তুসঞ্চয়ের অন্ধভাণ্ডারে বদ্ধ হয়ে আতিথ্যহীন সন্দেহের বিষবাষ্পে শ্বাসরুদ্ধ প্রায় অবস্থায় কাটিয়েছিলুম। তখন আমি এই ঘন দেয়ালের বাইরের রাস্তা থেকে চিরপথিকের পায়ের শব্দ শুনতে পেতুম। সেই শব্দের ছন্দই যে আমার রক্তের মধ্যে বাজে, আমার ধ্যানের মধ্যে ধ্বনিত হয়। আমি সেদিন স্পষ্ট বুঝেছিলুম, আমি ঐ পথিকের সহচর।

 আমেরিকার বস্তুগ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেই ‘শিশু ভোলানাথ’ লিখতে বসেছিলুম। বন্দী যেমন ফাঁক পেলেই ছুটে আসে সমুদ্রের ধারে হাওয়া খেতে, তেমনি করে। দেয়ালের মধ্যে কিছুকাল সম্পূর্ণ আটকা পড়লে তবেই মানুষ স্পষ্ট ক'রে আবিষ্কার করে, তার চিত্তের জন্যে এত বড়ো আকাশেরই ফাঁকাটা দরকার। প্রবীণের কেল্লার মধ্যে আটকা পড়ে সেদিন আমি তেমনি করেই আবিষ্কার করেছিলুম, অন্তরের মধ্যে যে শিশু আছে তারই খেলার ক্ষেত্র লোকে-লোকান্তরে বিস্তৃত। এইজন্যে কল্পনায় সেই শিশুলীলার মধ্যে ডুব দিলুম, সেই শিশুলীলার তরঙ্গে সাঁতার কাটলুম, মনটাকে স্নিগ্ধ করবার জন্যে, নির্মল করবার জন্যে, মুক্ত করবার জন্যে।


৭ অক্টোবর ১৯২৪

সাময়িক পত্রে প্রকাশের সূচী শিশু ভোলান থের যে-সকল কবিতার সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশের বিবরণ সংগৃহীত হইয়াছে, পত্রিকায় প্রকাশিত শিরোনাম বন্ধনী-মধ্যে] ও পৃষ্ঠাস্ক -সহ তাহ নীচে মুদ্রিত হইল— খেল-ভেলি। জ্যোতিষী [ নক্ষত্রতত্ত্ব ] তালগাছ পথহারা পুতুল ভাঙা ( শাস্তি ] বাণীবিনিময় বুড়ি বৃষ্টি রৌদ্র মনে পড়া [ মা-হারা ] भूपू [ पूर्थ রবিবার শিশু ভোলানাথ সংশ রী সময় হ{র সাত-সমুদ্র পারে প্রবাসী কাতিক মৌচাক কাতিক প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথষ্ণু’ পোষ রংমশাল শ্ৰেয়সী বৈশাখ যোঁচাক কাতিক প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথর" পোষ বঙ্গবাণী ফাৰ্ত্তন প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথর' চৈত্র সন্দেশ অগ্রহায়ণ প্রবাসী। ‘কষ্টিপাথর' পোষ সন্দেশ ভঞ্জি প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথর' আশ্বিন মৌচাক কতিক প্রবাসী কষ্টিপাথর" পোষ মৌচাক কাভিক প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথর" পৌষ মৌচাক কাতিক প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথর" পৌষ প্রবাসী মাঘ শ্ৰেয়সী শ্রাবণ সন্দেশ বৈশাখ মৌচাক কাfতক [ বা এর আয়োজন } প্রবাসী । ‘কষ্টিপাথ প্ল' পৌম

  • ५ ६ : **~१

〉?ab | > a a >○abr >こab こ88 > こa> > ૭૨ છે । ૨ >\ーミロア > こa、ア | ○83 > 3えbr >oab | "b-8 > ごabr > 2ab | ○8> ン ●おみ | > ● bア రిషి పె | br t వె > ●abr ১ ৩২৮ ৷৷ ৩৪২ > ●ミbア 〉 2ab | ●8 R > こ abア ১ ৩২৮ | ৩৪১ 〉○ミb | 88> > ○S > | < ○ ) \లిచి 6 > ごsbr ) ごab | 36 ● মাঘ ১৩৮৭ সালে মুন্ত্রিত সংশোধিত পাঠ : करिठां ब्र बाब श्रृं♚ इब भूर्तनt# সংশোধিত পাঠ দুরোরানী ৬৫ ১৭ শালিকরা শালিখরা ( রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রথম সংস্করণ অনুসারে ) বৃষ্টি রৌদ্র ৮৪ ১৪ ফাক ধৱে ৰায় ফাক ধরে ওই (রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রথম সংস্করণ ও স্বতন্ত্র গ্রস্থের প্রথম সংস্করণ অঙ্কুসারে ) वर्डमान मूडt१e (जाबाई ४०>• ) शूरौष्ठ नरrनाशिङ गा? : পুতুলভাঙা ২১ - সকাল সাৰে সকাল-সাজে (স্বতন্ত্র গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ ও রবীন্দ্র রচনাবলী প্রথম সংস্করণের পাঠ ) বৃষ্টি রোঁগ্র ৮২ ও স্বর্ধকে সুধিকে 3. ২• খাদ্বন-কুকুর খাদন-কুকুর (সন্দেশ পত্রিকা ও গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ অনুসারে )

মূল্য ১৭.০০ টাকা

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।