পাখীর কথা
শ্রীযুক্ত প্রবোধচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এম্ এ
পরম পূজনীয়
শ্রীযুক্ত অম্বিকাচরণ লাহা
পিতাঠাকুর মহাশয়ের
শ্রীকরকমলে
নিবেদন
“পাখীর কথা” প্রকাশিত হইল। এতদিন যে কথাগুলি বিক্ষিপ্তভাবে নানা মাসিক পত্রিকার পত্রান্তরালে ছড়াইয়া ছিল, আজ সেগুলিকে যথাসম্ভব পরিশােধিত ও কিঞ্চিৎ পরিবর্দ্ধিত করিয়া একত্র গ্রথিত করিলাম। বিগত ৺ শারদীয়া পূজার সময় গ্রন্থখানি বাহির হইবার কথা ছিল, কিন্তু নানা কারণে তাহা ঘটিয়া উঠিতে পারে নাই।
বর্ণিত বিষয়গুলিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে; ইহাদের মধ্যে কোনও ভাগ বাদ পড়িলে “পাখীর কথা” অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইত। প্রথম ভাগে খাঁচার পাখীকে ভাল করিয়া দেখিবার চেষ্টা করা হইয়াছে; তাহার কারণ এই যে আমরা সাধারণতঃ পােষাপাখীর সঙ্গে অনেকটা পরিচিত। সেই পরিচয়টিকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত করা আমার উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় ভাগে পাখীর সঙ্গে মানুষের আনন্দ-সম্পর্ক ছাড়া যে আর একটা সম্পর্ক আছে, যেখানে উভয়ে পরস্পরের জীবনযাত্রার সহায়ক অথবা বিরােধী হইতে পারে, সেই utilityর দিক হইতে বিহঙ্গতত্ত্ব আলােচনা করিবার প্রয়াস পাইয়াছি। আধুনিক পক্ষিবিজ্ঞানের এই অঙ্গটাকে পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা Economic Ornithology আখ্যা দিয়াছেন। বােধ করি বাঙ্গালা সাহিত্যে এই অভিনব আলােচনা আজিকার দিনে বিফল হইবে না। পুস্তকের তৃতীয় ভাগে মহাকবি কালিদাসের ভারতবর্ষীয় বিহঙ্গজাতির সহিত কিরূপ পরিচয় ছিল তাহা ভাল করিয়া দেখাইবার চেষ্টা করা হইয়াছে।
পরম পূজনীয় মহামহােপাধ্যায় শ্রীযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এম্-এ, সি-আই-ই, মহাশয় পুস্তকের ভূমিকা লিখিয়া দিয়া আমাকে চিরকৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করিয়াছেন। যাঁহাদের উৎসাহবাক্যে প্রণোদিত হইয়া আমি “পাখীর কথা” লিপিবদ্ধ করিতে ব্রতী হই, যাঁহাদের প্ররোচনা ও আনুকূল্য ব্যতীত সেই ব্রতের উদ্যাপন অসম্ভব হইত, তাঁহাদিগকে আমার ভক্তিপূর্ণ আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি। শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র নাথ লাহা এম্-এ, বি-এল, পি-আর-এস্ মহাশয় ও আমার পূজ্যপাদ অধ্যাপক শ্রীযুক্ত বিপিনবিহারী গুপ্ত এম্-এ মহাশয়ের নিকটে আমি বিশেষভাবে ঋণী। পণ্ডিত শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ কাব্যতীর্থ-সাংখ্যরত্ন ও বন্ধুবর শ্রীযুক্ত সুধীন্দ্রলাল রায় এম্-এ মহাশয় পুস্তকের আগাগোড়া প্রুফ সংশোধন করিয়া আমাকে বাধিত করিয়াছেন; শ্রীযুক্ত নন্দলাল দে এম্-এ, বি-এল, শ্রীমান্ বিমলাচরণ লাহা এম-এ, বি-এল, শ্রীমান্ বলাই চাঁদ দত্ত বি-এ, ও শ্রীযুক্ত মন্মথনাথ দে মহাশয় আমাকে নানা বিষয়ে সাহায্য করিয়াছেন। সর্ব্বশেষে একজনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিতেছি না—পূজনীয় শ্রীযুক্ত নলিনীরঞ্জন পণ্ডিত মহাশয়ের কথা। যিনি প্রথম হইতে শেষ পর্য্যন্ত এই পুস্তক প্রকাশের সাহায্যকল্পে অকাতরে পরিশ্রম করিয়াছেন—তাঁহার সাহায্য না পাইলে এভাবে পুস্তকখানি প্রকাশ করা সম্ভব হইত না। চিত্রশিল্পী শ্রীযুক্ত নারায়ণচন্দ্র কুশারী মহাশয়ের অঙ্কিত কয়েকখানি চিত্র এই পুস্তকে সন্নিবেশিত হইল।
পরিশেষে “প্রবাসী”, “মানসী”, “ভারতবর্ষ”, “সুবর্ণবণিক সমাচার” প্রভৃতি যে সকল মাসিক পত্রিকার সহৃদয় পরিচালকবর্গ আমার প্রবন্ধগুলি মুদ্রিত করিয়া আমাকে উৎসাহ দান করিয়াছিলেন, তাঁহাদিগকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ দিতেছি।
২৪ নং সুকিয়া ষ্ট্রীট্, |
শ্রীসত্যচরণ লাহা |
ভূমিকা
শ্রীযুক্ত বাবু সত্যচরণ লাহা এম্ এ, বি, এল্ মহাশয় যে “পাখীর কথা” বলিয়া বই লিখিয়াছেন, সেখানি অতি অপূর্ব্ব। উহার তিন ভাগ; প্রথম, খাঁচার পাখী, দ্বিতীয়, রাষ্ট্র-সমস্যা ও পক্ষিতত্ত্ব, তৃতীয়, কালিদাসের বিহঙ্গতত্ত্ব। তিনটী ভাগই অপূর্ব্ব। বাঙ্গালায় এরূপ বই একেবারেই নাই। সত্যবাবুর নিজের পাখীর সখ্ আছে। তিনি পাখী পোষেন, পাখীর চিড়িয়াখানা রাখেন। অবসর সময়ে নিজেই পাখীর সেবা করেন, দেশ বিদেশ হইতে পাখী সংগহ করেন এবং পাখীর রঙ্গীন ছবি আঁকান ও সংগ্রহ করেন। সুতরাং তিনি পাখীর বিষয়ে কোন কথা বলিলে আমাদের মন দিয়া শোনা আবশ্যক। এবার সংক্ষেপে তিনি গুটিকতক ভাল কথা বলিয়াছেন।
খাঁচার পাখী বিষয়ে তাঁহার জ্ঞান বেশী। কেন না তিনি খাঁচা দিয়াই পাখীপোষা আরম্ভ করেন, এখনও খাঁচার দিকেই তাঁহার টানটা বেশী। দ্বিতীয় ভাগে পাখীর আশ্রম করার কথায় তিনি যেন একটু খাঁচার দিকেই টান দেখাইয়াছেন। আশ্রম কর, একটা প্রকাণ্ড বাগান করিয়া তাহাতে পাখী স্বচ্ছন্দে যাতে আসে, স্বচ্ছন্দে বাসা করে, গৃহস্থালী করে, তাহা দেখ। তাহাকে পুষিও না, তাহাকে আবদ্ধ করিও না। সে আপন মনে যাহা করে দেখিয়া যাও ও টুকিয়া যাও। খাঁচায় পুরিয়া রাখিলে সে যাহা করিবে কতকটা ফরমাসী রকমে করিবে। স্বভাবে যাহা করিত, সেরূপ হইবে না। সুতরাং আশ্রম কতকটা ভাল বই কি? কিন্তু পাখীর ব্যামো হ’লে মানুষে যে যত্ন করিয়া চিকিৎসা করে, আশ্রমে কে তাহা করিবে? মানুষে নানা রকমে তাহার বাসা-বাঁধায় যে সাহায্য করে, তাহা কে করিবে? উহাদের বিচারশক্তি আছে কি না দেখিবার জন্য যে মানুষে নানা কৌশল করে, তাহা কে করিবে?
পাখী খাঁচায় পুরিয়া মানুষ কত কৌশলে সঙ্কর জাতীয় নানা পক্ষী সৃষ্টি করিয়াছে, কত করিয়া কত পাখীর রঙ্ বদ্লাইয়া দিয়াছে, স্বভাব বদ্লাইয়া দিয়াছে। তাহাদের ভিতরকার বৃত্তি ও প্রবৃত্তিগুলি জাগাইয়া দিয়াছে, তাহার জীবনচরিত ও জীবনসমস্যা সম্বন্ধে কত গুহ্য কথা জানিতে পারিয়াছে। কতকাল ধরিয়া মানুষ পাখী পুষিতেছে। পাখীকে কত কাজে লাগাইতেছে। পাখী দিয়া পাখী ধরিতেছে। বেদের ঋষিরা শ্যেন পাখী পুষিতেন, শ্যেন পাখী দিয়া পাখী শীকার করিতেন; শ্যেন পাখীর আকারে বেদী তৈয়ার করিয়া তাহাতে শ্যেন-যাগ করিতেন। হাজার হাজার বৎসর আগে নানবেরা আহারান্তে পাখী পড়াইতেন ও পাখীর লড়াই দেখিতেন।
প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগে সত্যবাবু সংক্ষেপে অনেক কথাই বলিয়াছেন; কিন্তু তাঁহার তৃতীয় ভাগটী বড়ই ভাল। এই ভাগে তিনি কালিদাসের বিহঙ্গতত্ত্ব ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তিনি নিজেই বলিয়াছেন, কালিদাস সৌন্দর্য্যের কবি। যেখানে যাহা কিছু সুন্দর, তাহা কালিদাসের চক্ষু এড়াইতে পারে নাই। এ কথাটী সত্যবাবু যে এত অল্প বয়সে বুঝিতে পারিয়াছেন, ইহা বড়ই সুখের কথা। সৌন্দর্য্যের কবি যে শুধু সৌন্দর্য্যই বুঝিতেন, তাহা হইতেই পারে না। তিনি সুন্দর ও অসুন্দর দুই বুঝিতেন। অসুন্দর ছাড়িয়া দিতেন, বাছিয়া বাছিয়া সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলিই আপনার কাজে লাগাইতেন। তাঁহার দৃষ্টিশক্তি (power of observation) অদ্ভূত ছিল। তিনি ঠিক জিনিসটী ঠিক বুঝিতে পারিতেন। যেটী ভাল সেইটী লইতেন, মন্দটী ত্যাগ করিতেন। জগতের কোথায় কি আছে, তাহা তিনি দেখিয়া শুনিয়া ও পড়িয়া জানিতেন। রঘুর দিগ্বিজয়ে কোন্ দেশের কোন্ জিনিসটী সুন্দর, তাহা তিনি দেখাইয়া গিয়াছেন। বাঙ্গালার আমন ধান, সমুদ্রের ধারে তালবন, কলিঙ্গে পানের গাছ, নারিকেলের রস (তাড়ি), আরও দক্ষিণে চন্দন গাছ, আরও দক্ষিণে পুন্নাগ, পশ্চিমে কেতকীরজঃ, পঞ্জাবে আঙুর ক্ষেত—যেখানে যেটী সুন্দর ঠিক্ সেইটী সেইখানে লিখিয়া গিয়াছেন। হিমালয় থাকে থাকে উঠিয়াছে। যে থাকে যে জিনিস, কালিদাস সেই থাকে সেই জিনিস লিখিয়াছেন। নীচে সিংহ, বাঘ ও হাতী, একটু উপরে সরল গাছ, আর একটু উপরে দেবদারু, আর একটু উপরে জমাট বরফ—আরও কত কি, কত লিখিব। কালিদাস যখন পাখীর কথা কহেন, তখন মনে হয় এই পাখীগুলা কি? যদি জানিবার উপায় থাকিত কালিদাসের দৃষ্টিশক্তি কত ধারাল আরও বুঝিতে পারিতাম; কিন্তু মনে করিতাম তাহা কে বুঝাইয়া দিবে? কারণ্ডব কাহাকে বলে? ক্রৌঞ্চ কাহাকে বলে? সারস কি? হংস কত রকম হয়?—কেই বা জানে, কেই বা বুঝাইয়া দিবে? কিন্তু এগুলি না বুঝিলে ’ত কালিদাসকে আমরা বুঝিতে পারিব না, তাঁহার দৃষ্টিশক্তির দৌড় দেখিতে পাইব না। নানা দেশ ঘুরিয়াছি, নানা দেশ দেখিয়াছি, নানা লোককে জিজ্ঞাসা করিয়াছি—কোন্ পাখীটা ক্রৌঞ্চ ও কোন্টা কারণ্ডব, কেহই নিঃসন্দেহে বলিয়া দিতে পারে নাই।
তাই সত্যবাবুর তৃতীয় ভাগ পড়িয়া আনন্দে বিভোর হইয়াছি। সত্যবাবু কালিদাসের সব পাখীগুলিকে চিনাইয়া দিবার জন্য অকাতরে পরিশ্রম করিয়াছেন, মনপ্রাণ দিয়া চেষ্টা করিয়াছেন। কালিদাসের অনেক অবোঝা সৌন্দর্য্য বুঝাইয়া দিয়াছেন। সত্যবাবু পাখীর মর্ম্ম বুঝেন, কালিদাসের পাখীগুলির মর্ম্ম বুঝাইবার চেষ্টা করিয়া কালিদাসের সমজদার লোকদের বিশেষ উপকার করিয়াছেন, তাঁহাদের গুরুতর ঋণে আবদ্ধ করিয়াছেন। তাঁহার জয় হউক।
সত্যবাবু যে এই কার্য্য করিয়াছেন, তাহা তাঁহার বংশের অনুরূপই হইয়াছে। কলিকাতার লাহা মহাশয়েরা ধনে মানে খুব বড়। ৺ মহারাজা দুর্গাচরণ লাহার নাম ভারতে কে না জানে? তিনি বাণিজ্যে প্রভূত সম্পত্তি অর্জ্জন করিয়া গিয়াছেন, রাজার নিকট ও সমাজে তাঁহার যথেষ্ট সম্মান ছিল। তাঁহার ছোট ভাই ৺ জয়গোবিন্দ লাহা সি, আই, ই, বড়ই লোকপ্রিয় ছিলেন। তিনি সকলের সঙ্গে মিশিতেন ও অতি অমায়িক ছিলেন। সত্যবাবু তাঁহারই পৌত্ত্র। লাহা মহাশয়েরা এত দিন ধনে ও মানেই বড় ছিলেন। ৺ দুর্গাচরণ লাহা মহাশয়ের দুই পুরুষ পরে তাঁহারা বিদ্যায়ও বড় হইয়াছেন। শ্রীযুক্ত নরেন্দ্রনাথ লাহা ইউনিভারসিটীর একটী কৃতী সন্তান। কিন্তু অন্য কৃতী সন্তানের ন্যায় ইনি বিদ্যা বেচিয়া খাইতেছেন না। তাঁহার বিপুল ঐশ্বর্য্য ও বিপুল শক্তি বিদ্যার প্রচারে ব্যয় করিতেছেন। তাঁহার প্রবর্ত্তিত “কলিকাতা ওরিয়েণ্ট্যাল্ সিরিজ” ও “হৃষীকেশ সিরিজ” একটা খুব বড় কাজ বলিয়া মনে করি। শ্রীযুক্ত বিমলাচরণ লাহা পালি শাস্ত্রে বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়াও লেখা পড়া ছাড়েন নাই।
সত্যবাবু অনেক দিন ধরিয়া বিজ্ঞান মতে পাখী লইয়া নাড়াচাড়া করিতেছেন। কিন্তু তিনি যে কালিদাসকে বুঝিবার ও বুঝাইবার জন্য এত চেষ্টা করিবেন বুঝিতে পারি নাই—পারিয়া মুগ্ধ হইয়াছি। আশীর্ব্বাদ করি, তিনি দীর্ঘজীবী হউন।
সূচীপত্র
সূচনা—পশুপক্ষীর প্রতি মানবের মমতা—পক্ষীর প্রতি মানুষের পক্ষপাতিত্বের কারণ—পক্ষিপালনপ্রথা সার্ব্বভৌমিক—গ্রীস ও রোম-বেবিলন—যুডিয়া—মিশর—অর্য্যাবর্ত্ত—পক্ষিপালনপ্রথার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ—পক্ষিবিজ্ঞানের অভিব্যক্তি—পক্ষিপালনে জাপানবাসীর প্রচেষ্টা—সম্রাট অক্বরের কৃতিত্ব |
পৃঃ ১—১৮ |
Aviculture কাহাকে বলে?—উপকরণ-সংগ্রহ ও অভিজ্ঞতালাভ—পিঞ্জর ও পক্ষিগৃহ—পিঞ্জর কিরূপ হওয়া উচিত—তন্মধ্যে খাদ্যজলস্থাপন—পাখীর দাঁড়—পাখীর স্বভাবানুযায়ী ব্যবস্থা—পক্ষিগৃহের (aviary) আবশ্যকতা—স্থান-নির্ব্বাচন ও গঠনপ্রণালী—শীতপ্রধান দেশের ব্যবস্থা—গৃহের সাজসজ্জা ও উপকরণ—মার্জ্জন ও প্রক্ষালন |
পৃঃ ১৯—২৯ |
পাশ্চাত্য পক্ষিপালক—তিনটি দল—পক্ষিবিজ্ঞানের উন্নতিবিধান-চেষ্টা—স্বদেশ-বিদেশের পাখী পুষিয়া—পাখীর জীবনরহস্যের সমস্যা সমাধান-চেষ্টা—পক্ষিসংরক্ষণে প্রকৃতি ও রুচিবিচার—একত্র সমাবেশে বাধা—আহার্য্যবিচার—আলফ্রেড এজ্রার কৃতিত্ব—পথ্য—ব্যাধি ও তাহার প্রতীকার |
পৃঃ ৩০—৪৩ |
পক্ষিগৃহে পাখীর দাম্পত্যলীলা—অসবর্ণ মিলন—শাবকোৎপাদন ও ঋতুবিচার—মিথুন নির্ব্বাচনের উপায়—রক্ষিত পাখীর সংখ্যার হ্রাসবৃদ্ধি—নীড়নির্ম্মাণের স্থাননির্ণয় ও উপকরণ-সংগ্রহ—বিচার-বুদ্ধি না সহজ-সংস্কার? |
পৃঃ ৪৪—৬০ |
প্রাঙ্মিথুন-লীলা—নীড়রচনা—ডিম্বপ্রসব ও পাখীর চরিত্র-পরিবর্ত্তন—বিচারশক্তি ও পরভৃৎরহস্য |
পৃঃ ৬১—৭৩ |
পক্ষিপালকের নীড়-পরিষ্কার রাখার চেষ্টা পাখীর স্বভাববিরোধী কি না?—পাখীর স্বীয় বাসারচনা-প্রণালী কতদূর উদ্দেশ্যমূলক; পরিচ্ছন্নতা ইহার অনুকূল কি না?—পাখীর প্রসাধন-প্রবৃত্তি ও তাহার উপকরণ—একই সময়ে ডিম্বগুলি ফুটাইবার জন্য পক্ষিপালকের ব্যবস্থা—শাবকের আহারব্যবস্থা—পাখীর বর্ণসাঙ্কর্য্য—এ সম্বন্ধে পালকের চেষ্টা |
পৃঃ ৭৪—৮৯ |
ইংলণ্ডের পক্ষিপালন-সমিতির নিকট বেলজিয়মের আবেদন—Economic Ornithology কি?—বার্ত্তাশাস্ত্রের সহিত বিহঙ্গজীবনের সম্বন্ধ—পক্ষী সম্বন্ধে রাষ্ট্রের দায়িত্ব—খাদ্যহিসাবে পক্ষিপালন |
পৃঃ ৯১—১০৩ |
পক্ষিতত্ত্ব ও মানবের ইতিহাস—প্রাচীন রোমের ধর্ম্মে বিহঙ্গের স্থান—য়ুরোপে মধ্যযুগে পাখী—নেপোলিয়ান ও যাযাবর পাখী—আধুনিকযুগে পক্ষিতত্ত্বজিজ্ঞাসুর শ্রেণীবিভাগ—পক্ষিপালনপ্রথায় (avicultureএ) তত্ত্বজিজ্ঞাসার বাধা—পাখীর sanctuary বা আশ্রম—আশ্রমে সে বাধা দূর হয় কি না—মার্কিনে আশ্রমপন্থীর সফলতা—এ দেশে ঔদাসীন্য—আশ্রম ও খাঁচার দলের লক্ষ্য এক—খাঁচার পাখী হইতে পক্ষিবিজ্ঞানের লাভ—avicultureএর নিকট মানবসভ্যতা কি প্রকারে ঋণী—স্বাধীন অবস্থায় পাখীর বর্ণবিপর্য্যয় ঘটে কি না?—খাঁচায় পক্ষিপালনের বিরুদ্ধে অভিযোগ |
পৃঃ ১০৪—১২২ |
কালিদাস-সাহিত্যে বিহঙ্গপরিচয়
পাখীর প্রব্রজন-রহস্য—ক্রৌঞ্চরন্ধ্র—রাজহংস—সারস চক্রবাক—গৃহবলিভুক্—বলাকা |
পৃঃ ১২৩—১৪৫ |
শিখী—সারিকা—পারাবত—চাতক |
পৃঃ ১৪৬—১৬১ |
গ্রীষ্মবর্ণন—হংসকাকলী—শরদ্বর্ণন—হেমন্ত—হংসের প্রব্রজন ও গতিবিধি—রাজহংস—কাদম্ব |
পৃঃ ১৬২—১৭৩ |
কারণ্ডব—সারস—ক্রৌঞ্চ—ময়ূর—কোকিল—চাতক—শুক |
পৃঃ ১৭৪—১৯১ |
নাটকাবলী
গল্পাংশ |
পৃঃ ১৯২—২০৪ |
মালবিকাগ্নিমিত্র ও অভিজ্ঞানশকুন্তল—
গল্পাংশ |
পৃঃ ২০৫—২১৮ |
রাজহংস—চক্রবাক—সারস—কারণ্ডব—ময়ূর—শুক—পারাবত—কপোত—চাতক—গৃধ্র, শ্যেন—কুররী—শকুনি—কোকিল |
পৃঃ ২১৯—২৫৭ |
সারস—হিরণ্যহংস—চকোর—হারীত—কঙ্ক—কপোত—শ্যেন, গৃধ্র—খঞ্জন |
পৃঃ ২৫৮—২৬৭ |
নির্ঘণ্ট | পৃঃ ২৬৯—২৭২ |
চিত্রসূচী
১। | শ্যামা প্রভৃতি “কোমলচঞ্চু” পক্ষী (ত্রিবর্ণ) |
পুরশ্চিত্র |
২। | জাপানবাসীর পক্ষিপালন (রঙীন) |
পৃঃ ১৪ |
৩। | “ভরত” প্রভৃতি পক্ষীর পিঞ্জর |
পৃঃ„ ২৪ |
৪। | খঞ্জন ও মাছরাঙ্গা |
পৃঃ„ ৩৫ |
৫। | নীড়াধার, নারিকেলের |
পৃঃ„ ৫২ |
৬। | বাক্সের ও গাছের গুঁড়ির নীড়াধার |
পৃঃ„ ৫৩ |
৭। | চক্রবাক, কাদম্ব (রঙীন) |
পৃঃ„ ১৩৮ |
৮। | কঙ্ক, ক্রৌঞ্চ, বলাকা (রঙীন) |
পৃঃ„ ১৭৮ |
৯। | হারীত, চকোর, রাজহংস (রঙীন) |
পৃঃ„ ২২২ |
১০। | কুররী (রঙীন) |
পৃঃ„ ২৪৫ |
১১। | সারস (রঙীন) |
পৃঃ„ ২৬০ |
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্গত কারণ এই লেখাটি ১লা জানুয়ারি ১৯২৯ সালের আগে প্রকাশিত। এই লেখাটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কপিরাইটেড হতে পারে। (বিস্তারিত জানার জন্য এই সাহায্য পাতা দেখুন)।