রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কবিতা
নাম প্রথম পঙক্তি সৃষ্টির তারিখ সৃষ্টিস্থান দেশ এই গ্রন্থে প্রকাশিত
অকর্মার বিভ্রাট লাঙল কাঁদিয়ে বলে ছাড়ি দিয়ে গলা, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অকালে ভাঙা হাটে কে ছুটেছিস ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অকৃতজ্ঞ ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সদা ব্যঙ্গ করে— ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অক্ষমতা এ যেন রে অভিশপ্ত প্রেতের পিপাসা কড়ি ও কোমল
অগ্নিবীণা বাজাও তুমি কেমন ক'রে অগ্নিবীণা বাজাও তুমি শান্তিনিকেতন ব্রিটিশ ভারত গীতালি
অচিন্ত্য এ ব্রহ্মান্ডের লোক-লোকান্তরে অচিন্ত্য এ ব্রহ্মান্ডের লোক-লোকান্তরে নৈবেদ্য
অচেতন মাহাত্ম্য ‘হে জলদ, এত জল ধরে আছ বুকে, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অচেনা রে অচেনা, মোর মুষ্টি ছাড়াবি কী ক'রে, মহুয়া
অচেনা কেউ যে কারে চিনি নাকো ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে। বুদ্ধ গয়া ব্রিটিশ ভারত গীতালি
অজস্র দিনের আলো অজস্র দিনের আলো ১৯৪০-১১-০৩ জোড়াসাঁকো ব্রিটিশ ভারত রোগশয্যায়
অজ্ঞাত বিশ্ব জন্মেছি তোমার মাঝে ক্ষণিকের তরে চৈতালি
অঞ্চলের বাতাস পাশ দিয়ে গেল চলি চকিতের প্রায় কড়ি ও কোমল
অতিথি প্রবাসের দিন মাের পরিপূর্ণ করি’ দিলে, নারী, ১৯২৪-১১-১৫ বুয়েনোস আইরেস আর্জেন্টিনা পূরবী
অতিথি ওই শোনো গো অতিথি বুঝি আজ, ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অতিথিবৎসল অতিথিবৎসল ১৯৩৫-১০-২৪ শান্তিনিকেতন ব্রিটিশ ভারত পত্রপুট
অতিবাদ আজ বসন্তে বিশ্বখাতায় ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অতীত কাল সেই ভালাে প্রতি যুগ আনে না আপন অবসান, ১৯২৪-১১-০৭ এস. এস. আন্দিজ পূরবী
অদৃশ্য কারণ রজনী গোপনে বনে ডালপালা ভ’রে ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অদেখা আসিবে সে, আছি সেই আশাতে। ১৯২৪-১২-০৭ বুয়েনোস আইরেস আর্জেন্টিনা পূরবী
অধিকার অধিকার বেশি কার বনের উপর ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অনন্ত পথে বাতায়নে বসি ওরে হেরি প্রতিদিন চৈতালি
অনন্ত প্রেম তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি জোড়াসাঁকো ব্রিটিশ ভারত মানসী
অনবচ্ছিন্ন আমি আজি মগ্ন হয়েছি ব্রহ্মাণ্ড-মাঝারে, কল্পনা
অনবসর ছেড়ে গেলে হে চঞ্চলা, ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অনাদৃত তখন তরুণ রবি প্রভাত কালে ব্রিটিশ ভারত সোনার তরী
অনাবশ্যকের আবশ্যকতা ‘কী জন্যে রয়েছ, সিন্ধু, তৃণশস্যহীন— ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অনাবৃষ্টি শুনেছিনু, পুরাকালে মানবীর প্রেমে চৈতালি
অনিঃশেষ প্রাণ অনিঃশেষ প্রাণ ব্রিটিশ ভারত রোগশয্যায়
অনুগ্রহ এই যে জগত হেরি আমি, ব্রিটিশ ভারত সন্ধ্যা সঙ্গীত
অনুরাগ ও বৈরাগ্য প্রেম কহে, ‘হে বৈরাগ্য, তব ধর্ম মিছে।’ ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অনেককালের যাত্রা আমার অনেককালের যাত্রা আমার শিলাইদহ ব্রিটিশ ভারত গীতিমাল্য
অন্তর মম বিকশিত কর অন্তর মম বিকশিত কর ব্রিটিশ ভারত গীতাঞ্জলি
অন্তরতম আমি যে তোমায় জানি, সে তো কেউ ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অন্তরের সে সম্পদ ফেলেছি হারায়ে অন্তরের সে সম্পদ ফেলেছি হারায়ে নৈবেদ্য
অন্তর্দ্ধান তব অন্তর্দ্ধান পটে হেরি তব রূপ চিরন্তন।৭ মহুয়া
অন্তর্যামী এ কি কৌতুক নিত্য-নুতন ব্রিটিশ ভারত চিত্রা
অন্তর্হিতা প্রদীপ যখন নিবেছিলাে, ১৯২৪-১১-১৬ বুয়েনোস আইরেস আর্জেন্টিনা পূরবী
অন্তিম প্রেম ওরে পদ্মা, ওরে মাের রাক্ষসী প্রেয়সী, পূরবী
অন্ধকার উদয়াস্ত দুই তটে অবিচ্ছিন্ন আসন তােমার, ১৯২৫-০১-১০ এস. এস. জুলিও চেসারে পূরবী
অন্ধকার গর্তে থাকে অন্ধ সরীসৃপ অন্ধকার গর্তে থাকে অন্ধ সরীসৃপ নৈবেদ্য
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো প্রয়াগরাজ ব্রিটিশ ভারত গীতালি
অপটু যতবার আজ গাঁথনু মালা ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অপমান-বর ভক্ত কবীর সিদ্ধপুরুষ খ্যাতি রটিয়াছে দেশে ব্রিটিশ ভারত কথা
অপমান-বর ভক্ত কবীর সিদ্ধপুরুষ খ্যাতি রটিয়াছে দেশে, ব্রিটিশ ভারত কথা
অপরাজিত ফিরাবে তুমি মুখ, মহুয়া
অপরাহ্ণে এসেছিল জন্মবাসরের আমন্ত্রণে অপরাহ্নে এসেছিল জন্মবাসরের আমন্ত্রণে মংপু ব্রিটিশ ভারত জন্মদিনে
অপরিচিতা পথ বাকি আর নাই তাে আমার, চ’লে এলাম একা; ১৯২৪-১০-১৮ এস. এস. আন্দিজ পূরবী
অপরিবর্তনীয় ‘এক যদি আর হয় কী ঘটিবে তবে।’ ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অপরিহরণীয় মৃত্যু কহে, ‘পুত্র নিব’; চোর কহে, ‘ধন’; ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অপেক্ষা সকল বেলা কাটিয়া গেল, ব্রিটিশ ভারত মানসী
অবরুদ্ধ ছিল বায়ু অবরুদ্ধ ছিল বায়ু; দৈত্য সম পুঞ্জ মেঘভার ব্রিটিশ ভারত প্রান্তিক
অবর্জিত আমি চলে গেলে ফেলে রেখে যাব পিছু ১৯৩৫-০৬-০৫ চন্দননগর ব্রিটিশ ভারত নবজাতক
অবশেষ বাহির পথে বিবাগী হিয়া মহুয়া
অবসন্ন আলোকের অবসন্ন আলোকের ব্রিটিশ ভারত রোগশয্যায়
অবসান পারের ঘাটা পাঠালাে তরী ছায়ার পাল তুলে ১৯২৪-১০-৩০ এস. এস. আন্দিজ পূরবী
অবসান বিরহ-বৎসর পরে, মিলনের বীণা পূরবী
অবিনয় হে নিরুপমা, ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অভয় আজি বর্ষশেষ-দিনে, গুরুমহাশয় চৈতালি
অভিমান কারে দিব দোষ বন্ধু, কারে দিব দোষ চৈতালি
অভিমানিনী ও আমার অভিমানী মেয়ে। ব্রিটিশ ভারত ছবি ও গান
অভিসার সন্যাসী উপগুপ্ত ব্রিটিশ ভারত কথা
অভিসার সন্ন্যাসী উপগুপ্ত ব্রিটিশ ভারত কথা
অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে অমন আড়াল দিয়ে লুকিয়ে গেলে ব্রিটিশ ভারত গীতাঞ্জলি
অমর্ত্য আমার মনে একটুও নেই বৈকুণ্ঠের আশা ১৯৩৭-০৩-১১ শান্তিনিকেতন ব্রিটিশ ভারত সেঁজুতি
অমল কমল সহজে জলের কোলে অমল কমল সহজে জলের কোলে নৈবেদ্য
অযোগ্যের উপহাস নক্ষত্র খসিল দেখি দীপ মরে হেসে; ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অর্ঘ্য সূর্য্যমুখীর বর্ণে বসন লই রাঙায়ে, মহুয়া
অলস শয্যার পাশে জীবন মন্থরগতি চলে অলস শয্যার পাশে জীবন মন্থরগতি চলে, ১৯৪১-০১-২৩ উদয়ন ব্রিটিশ ভারত আরোগ্য
অলস সময় ধারা বেয়ে অলস সময় ধারা বেয়ে ১৯৪১-০২-১৩ উদয়ন ব্রিটিশ ভারত আরোগ্য
অল্প জানা ও বেশি জানা তৃষিত গর্দভ গেল সরোবরতীরে, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অল্প লইয়া থাকি তাই মোর অল্প লইয়া থাকি তাই মোর নৈবেদ্য
অশেষ আবার আহ্বান? কল্পনা
অশ্রু সুন্দর, তুমি চক্ষু ভরিয়া মহুয়া
অসময় বৃথা চেষ্টা রাখি দাও। স্তব্ধ নীরবতা চৈতালি
অসময় হয়েছে কি তবে সিংহদুয়ার বন্ধ রে? কল্পনা
অসমাপ্ত বোলো তা'রে, বোলো, মহুয়া
অসম্পূর্ণ সংবাদ চকোরী ফুকারি কাঁদে, ‘ওগো পূর্ণ চাঁদ, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অসম্ভব ভালো যথাসাধ্য-ভালো বলে, ‘ওগো আরো-ভালো, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অসহ্য ভালবাসা বুঝেছি গাে বুঝেছি স্বজনি, ব্রিটিশ ভারত সন্ধ্যা সঙ্গীত
অসাধ্য চেষ্টা শক্তি যার নাই নিজে বড়ো হইবারে ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অসাবধান আমায় যদি মনটি দেবে ব্রিটিশ ভারত ক্ষণিকা
অসীম ধন তো আছে তোমার অসীম ধন তো আছে তোমার চেইনি ওয়াক ব্রিটিশ ভারত গীতিমাল্য
অসুস্থ শরীরখানা অসুস্থ শরীরখানা ১৯৪০-১১-২১ উদয়ন ব্রিটিশ ভারত রোগশয্যায়
অস্তমান রবি আজ কি তপন তুমি যাবে অস্তাচলে কড়ি ও কোমল
অস্তাচলের পরপারে আমার এ গান তুমি যাও সাথে করে কড়ি ও কোমল
অস্পষ্ট আজি ফাল্গুনে দোল পূর্ণিমা রাত্রি, ১৯৪০-০৩-২৭ উদয়ন ব্রিটিশ ভারত নবজাতক
অস্ফুট ও পরিস্ফুট ঘটিজল বলে, ‘ওগো মহাপারাবার, ব্রিটিশ ভারত কণিকা
অহল্যার প্রতি কী স্বপ্নে কাটালে তুমি দীর্ঘ দিবানিশি, শান্তিনিকেতন ব্রিটিশ ভারত মানসী