মুরলী

শ্রীসারদাপ্রসাদ ঠাকুর রচিত।

PUBLISHED By
J. N. Bose.
29, Durga Ch. Mitter St.
Calcutta.


আষাঢ—১৩২৩

PRINTED BY
K. C. Dey.
Shastraprachar Press,
5, Chidammudi’s Lane, Calcutta.

উৎসর্গ পত্র।

বহুমানভাজন শ্রদ্ধেয় সুকবি ও ঔপন্যাসিক

শ্রীযুত মুনীন্দ্রপ্রসাদ সর্ব্বাধিকারী


সুহৃদ্বর করকমলেষু।

যে “মানস-সরোবরে”—“হৃদয়-লহরী”
“প্রফুল্ল নির্ম্মাল্য” দিয়া সাজা’ল সুন্দর,
“মানস-কুঞ্জের” মাঝে বসিয়া যে জন
“গার্হস্থ্য-সন্ন্যাস” ধর্ম্ম দেখাল জগতে;
“কুম্ভকর্ণী-নিদ্রা” তত্ত্বে “জীবন-বীমায়”
“পাঁচ-ইয়ারের” রঙ্গে রঙ্গ-ব্যঙ্গ যা’র;
“হিতবাণী” শুনাইল যে সিদ্ধ সাধক
“নবীনের সংসারেতে কশা যা’র করে—
“শুভকর্ম্মে গদ্য পদ্য” যাহার কৌতুক,
“জলপ্লাবনের” দৃশ্যে যে কাঁদে কাঁদায়;
যা’র অভিনব সৃষ্টি “সমরে সেবক”,
সিদ্ধ হস্তে যে বাজায় “মুরজ-মুরলী”
সে সাহিত্য-মহারথী মুনীন্দ্রের করে
সাধের “মুরলী” মম দিলাম সাদরে।

গুণমুগ্ধ
শ্রীসারদাপ্রসাদ ঠাকুর।

মুখবন্ধ।


 যে মুরলী যমুনা-পুলিনে বাজিত, এ “মুরলী” সে মুরলী নহে—তবে মুরলী-ধারীর নাম কীর্ত্তন, মহিম্নস্তব, এ সাধের “মুরলী” কতক পরিমাণে করিতে পারে। মুরলীর যাঁহার ভক্ত, তাঁহদের প্রীত্যর্থেই আমার এ “মুরলী” রব— তাহা ক্ষীণ হইলেও তাহাতে ব্যাকুলত আছে। ব্যাকুল হইয়া না ডাকিলে সাধনার ধনের সন্ধান পাওয়া যায় না। এ “মুরলী” ধ্বনি আমার আকুল আহ্বান। সে আহ্বান অন্যের ভাল না লাগিলেও আমার “সর্ব্বময়”; হয়ত একদিন তাহাতে বিচলিত হইবেন, আকৃষ্ট হইবেন—হয়ত একদিন আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে বিহার করিবেন—আর আমি কৃতকৃতার্থ হইব। সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায় “মুরলী” রবে আমি আপনাকে আপনি জাগাইয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছি। আমার স্বগণ ও অন্যান্য শক্র মিত্রও যদি আমার কর্কশ রবে জাগিয়া উঠেন, তাহা হইলে আমি অধিকতর ধন্য হইব। ক্ষুদ্র আমি আমার বলিবার শক্তি নাই—

যদি হরি স্মরণে সরসংমনো
যদি বিলাসকলাস্থ কুতূহলম্‌।
মধুরকোমলকান্ত পদাবলীং
শৃণু তদা জয়দেব সরস্বতীম্।

 দীন ভিখারী আমি—“মুরলী” ধ্বনি দ্বারে দ্বারে করিব; যাঁহার ইচ্ছা, তিনি শুনিবেন; যিনি তাহাতে প্রীত হইবেন না, তিনি না হয় আমাকে তাড়াইয়া দিবেন। দুঃখ কিসের? ইতি—




দীনাতিদীন
সারদাপ্রসাদ।

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র

পরিচ্ছেদ 
 পৃষ্ঠা
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 ১০
 ১১
 ১২
 ১৩
 ১৪
 ১৪
 ১৫
 ১৬
 ১৭
 ১৯
 ২০
 ২১
 ২২
 ২৩
 ২৪
 ২৫
 ২৬
 ২৭
 ২৮
 ২৯
 ৩০
 ৩১
 ৩২
 ৩৩
 ৩৪
 ৩৫
 ৩৬
 ৩৭
 ৩৮
 ৩৯
 ৪১
 ৪২
 ৪৪
 ৪৫
 ৪৬
 ৪৮
 ৪৯
 ৫০
 ৫১
 ৫২
 ৫৩
 ৫৪
 ৫৫
 ৫৬

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।

বিঃদ্রঃ এই লেখা/রচনা/বইয়ের লেখকের মৃত্যুসাল কোনও তথ্যসূত্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। ভবিষ্যতে কোনো তথ্যসূত্র দ্বারা লেখকের মৃত্যুসাল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে এলে, এই লেখকের রচনার প্রকৃত কপিরাইট অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হবে। নতুন তথ্য অনুসারে এই বইটির কপিরাইট অবস্থা ভবিষ্যতে বিচার করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।