আনন্দ মঠ।


শ্রীবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রণীত।
দ্বিতীয় সংস্করণ।

চুঁচুড়া
চিকিৎসা-প্রকাশ যন্ত্রে শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ দাস দ্বারা
মুদ্রিত ও শ্রীউমাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ত্তৃক
প্রকাশিত।

১২৯০।
মূল্য ১৵৹ এক টাকা দুই আনা মাত্র।

প্রথমবারের বিজ্ঞাপন।

 বাঙ্গালীর স্ত্রী অনেক অবস্থাতেই বাঙ্গালীর প্রধান সহায়। অনেক সময় নয়।

 সমাজবিপ্লব অনেক সময়েই আত্মপীড়ন মাত্র। বিদ্রোহীরা আত্মঘাতী।

 ইংরেজেরা বাঙ্গালা দেশ অরাজকতা হইতে উদ্ধার করিয়াছেন।

 এই সকল কথা এই গ্রন্থে বুঝান গেল।

দ্বিতীয়বারের বিজ্ঞাপন।

 প্রথমবারের বিজ্ঞাপনে যাহা লিখিয়াছিলাম, তাহার টীকা স্বরূপ কোন বিজ্ঞ সমালোচকের কথা অপর পৃষ্ঠে উদ্ধৃত করিলাম।

 The leading idea of the plot is this—Should the national mind feel justified in harbouring violent thoughts against the British Government? or to present the question in another form, is the establishment of English supremacy providential in any sense? or to put it in a still more final and conclusive form, with what purpose and. with immediate end in view did providence end the British to this country? The immediate object is thus briefly described in the preface—To put an end to Moslem tyranny and anarchy in Bengal; and the mission is thus strikingly pictured in the last chapter:—“The Physician said, ‘Satyanand, be not crest-fallen. Whatever is, is for the best. It is so written that the English should first rule over the country before there could be a revival of the Aryan faith. Harken unto the counsels of Providence. The faith of the Aryas consisteth not in the worship of three hundred and thirty millions of gods and goddesses; as a matter of fact that is a popular degradation of religion—that which has brought about the death of the true Arya faith, the so-called Hinduism of the Mlechhas. True Hinduism is grounded in knowledge, and not in works. Knowledge is of two kinds—external and internal. The internal knowledge constitutes the chief part of Hinduism. But internal knowledge cannot grow unless there is a development of the external knowledge. The spiritual cannot be known unless you know the material. External knowledge has for a long time disappeared from the country, and with it has vanished the Arya faith. To bring about a revival we should first of all disseminate physical or external knowledge. Now there is none to teach that; we ourselves cannot teach it. We must needs get it from other countries. The English are profound masters of physical knowledge, and they are apt teachers too. Let us then make them kings. English education will give our men a knowledge of physical science, and this will enable them to grapple with the problems of their inner nature. Thus the chief obstacles to the dissemination of Arya faith will be removed, and true religion will sparkle into life, spontaneously and of its own accord. The British Government shall remain indestructible so long as the Hindus do not once more become great in knowledge, virtue and power. Hence, O Wise man, refrain from fighting and follow me.” This passage embodies the most recent and the most enlightened views of the educated Hindus, and happening as it does in a novel powerfully conceived and wisely executed, it will influence the whole race for good. The author’s dictum we heartily accept, as it is one which already forms the creed of English education. We may state it in this form: India is Bound to accept the scientific method of the west and apply it to the elucidation of all truth. This idea, beautifully expressed, forms a silver thread as it were, and runs through the tissue of the whole work.

Liberal.
8th April, 1882.



উৎসর্গ পত্র।

* * *

ক্ব নু মাং ত্বদধীনজীবিতং
বিনিকীর্য্য ক্ষণভিন্নসৌহৃদঃ।
নলিনীং ক্ষতসেতুবন্ধনো
জলসংঘাত ইবাসি বিদ্রুতঃ॥

* * *

 স্বর্গে মর্ত্ত্যে সম্বন্ধ আছে। সেই সম্বন্ধ রাখিবার নিমিত্ত এই গ্রন্থের এইরূপ উৎসর্গ হইল।



যে তু সর্ব্বাণি কর্ম্মাণি ময়ি সংনস্যে মৎপরাঃ
অনন্যেনৈব যোগেন মাং ধ্যায়ন্ত উপাসতে।
তেষামহং সমুদ্ধর্ত্তা মৃত্যুসংসারসাগরাৎ
ভবামি ন চিরাৎ পার্থ ময্যাবেশিতচেতসাং।
ময্যেব মন আধৎস্ব ময়ি বুদ্ধিং নিবেশয়
নিবসিষ্যসি ময্যেব অত ঊর্দ্ধং ন সংশয়ঃ।
অথ চিত্তং সমাধাতুং ন শক্নোষি ময়ি স্থিরং
অভ্যাসযোগেন ততো মামিচ্ছাপ্তুং ধনঞ্জয়।

শ্রীমদ্ভগ্‌বদ্গীতা। ১২। অধ্যায়।

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র

এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।