বিদ্যাসাগর
বিদ্যাসাগর
সমালোচনা-সংবলিত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনী।
“শকুন্তলা-রহ, “ইংরেজের জর,” “তিতুমীর,
“গান, “মহাৱাণ স্বর্ণী,” “বঙ্গে বর্গী” ও
“ভরতপুরের যুদ্ধ গ্রন্থ-প্রণেতা
বিহারিলাল সরকার
প্রণীত।
চতুর্থ সংস্করণ।
কলিকাতা, ১২ নং হরীতকী বাগান লেন,
শান্ত-প্রকাশ কার্যালয় হইতে
শ্রীহরিপদ চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক
প্রকাশিত।
১৩২৯ সাল।
কলিকাতা,
৩০ নং হরীতকী বাগান লেন,
“পশুপতি যন্ত্রে”
শ্রীরাজকুমার রায় কর্তৃক মুদ্রিত।
উৎসর্গ-পত্র
প্রিয়তম সুহৃদ সহায়
স্বর্গীয় কেদারনাথ মিত্র
এবং
শ্রীযুক্ত নৃত্যগোপাল বসুকে
দীনের এ সামান্য সাহিত্য-সম্লব
“বিদ্যাসাগর”
উৎসৃষ্ট
হইল।
আমার নিবেদন।
“বিদ্যাসাগরের” তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইল। আমার কোন কোন বন্ধু বলেন যে, “বিদ্যাসাগরে”র আরও বেশী সংস্করণ হওয়া উচিত ছিল। আমার লেখার গুণে নহে, বিদ্যাসাগরের নামের গুণে। ইহর আরও বেশী সংস্করণ দেখিয়া যাইব, আমারও এইরূপ আশা ছিল; কিন্তু আশা ফলবতী হয় নাই। তবে দেশে পাঠকবৃন্দের যেরূপ অবস্থা, তাহা ভাবিলে এই যে তৃতীয় সংস্করণ হইল, ইহাকেই আমার ও আমার দেশের সৌভাগ্য বলিয়া মানি।
তৃতীয় সংস্করণ আরও কিছু পূর্ব্বে প্রকাশিত হইবার কথা ছিল; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ আমার শারীরিক অবস্থা সে পক্ষে কক্ত কটা পরিপন্থী হইয়া দাঁড়ায়। এই সংস্করণে অনেক জ্ঞাতব্য নুতন বিষয় সংযোজিত করিবার ইচ্ছা ছিল। কতক কতক নূতন বিষয় সংযোজিত হইয়াছে। তাহ বোধ হয়, পাঠকদিগকে পক্ষে অপাঠ্য হইবে না, এমন ভরসা আছে। তবে, যতগুলি বিষয় সংগ্রহ করিবার সঙ্কল্প ছিল, শারীরিক অপটুতাবশতঃ তাহা করিতে পারি নাই। যদি ভগবৎকৃপায় ইহার চতুর্থ সংস্করণ দেখিয়া যাইবার সৌভাগ্য আমার ঘটে, তাহা হইলে, মনের বাসনা অপূর্ণ না থাকিলেও থাকিতে পারে। দেশের অবস্থা বুঝিলে বুঝিতে হয় যে বাঙ্গালা-পাঠকের নিকট “বিদ্যাসাগরে”র কতকটা আদর হইয়াছে। ইহা বিদ্যাসাগরের নামগুণের পরিচায়ক। ইহা যাঁহার জীবনী, হৃদয়ে তাঁহার স্মৃতি জাগাইয়া, তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ করিলাম। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনাস্তে তাঁহার গুণগ্রামস্মৃতির উন্মেষণায় অনেকে অনেক ভাবে আলোচনা করিয়াছিলেন। এতৎসম্বন্ধে পরলোকগত রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয়, শ্রীযুক্ত সুবলচন্দ্র মিত্রের রচিত মনোজ্ঞ ইংরেজী “বিদ্যাসাগর চরিতে"র যে সুচনাপত্র লিখিয়াছেন, তাহা যেন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গুণগ্রাম চিত্রপটে জীবন্তভাবে পূর্ণাঙ্কিত করিয়া তুলিয়াছে। পরিশিষ্টে তাহার ভাষানুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে। কলিকাতা টাকশালের ভূতপূর্ব্ব দেওয়ান সুধী সুবিদ্বান সঙ্গীতশাস্ত্রজ্ঞ রায় শ্রীযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ বসু বাহাদুর বিদ্যাসাগর মহাশয় সম্বন্ধে যে কয়্টী কথা আমায় লিখিয়া পঠাইয়াছেন এবং সুপ্রসিদ্ধ ঔপন্যাসিক সুলেখক শ্রীযুক্ত হেমেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ মহাশয় তাহার সম্বন্ধে যাহা আলোচনা করিয়াছেন, তাহ সর্ব্বজনের সুখপাঠ্য হইবে ভাবিয়া পরিশিষ্টে প্রকাশ করিলাম। ইহাতে বিদ্যাসাগর-জীবনের অনেক জ্ঞাতব্য বিষযের আলোচনা আছে। ইঁহারা কৃতী, যশস্বী, সুধী, সুলেখক। ইঁহাদিগের প্রতি যথাযোগ্য কৃতজ্ঞতা দেখাইবার ভাষা আমি অকৃতী লেখক কোথায় পাইব?
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সমকালে যে সকল শক্তিশালী ব্যক্তি নানাকারণে তাঁহার সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধে আবদ্ধ ছিলেন, তাহাদের অনেকের এবং তাহার সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল না, অথচ “বাঙ্গালা সাহিত্যের সহিত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধসূত্রে জড়িত ছিলেন, এমন কয়েকজনের সংক্ষিপ্ত জীবন-কথা পরিশিষ্টে সন্নিবেশিত, হইয়াছে। ইহার জন্য বহু গ্রন্থ-প্রণেতা, সাহিত্য সংহিতা’র সুযোগ্য সম্পাদক, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ইংরেজী জীবন-চরিত-লেখক, আমার প্রীতিভাজন সুহৃৎ স্ত্রীযুক্ত সুবলচন্দ্র মিত্রের নিকট আমি ঋণী। এই সকল শক্তিশালী ব্যক্তির মধ্যে অনেকের জীবন-কথা তাহার সঙ্কলিত ও সাহিত্যে সম্যক সমাদৃত ‘'সরল বাঙ্গালা অভিধান” পুস্তকে প্রকাশিত হইয়াছে। আমি অনেকের জীবনকথা সেই অভিধান হইতে সংগ্রহ করিয়াছি। শ্রী সুবলচন্দ্র এই তৃতীয় সংস্করণের আদ্যন্ত প্রফ দেখিয়া এবং অবশ্যকমত ভাষাদির প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া আমাকে যদি সাহায্য না করিতেন, তাহা হইলে এই সংস্করণ বোধ হয়, আমার ইহজীবনে সাধ্যের সীমাবহির্ভূত হইয়া পড়িত।
এবার মুদ্রাঙ্কণের পরিপাটী সাধনসম্বন্ধে সাধ্যানুসারে প্রয়াস পাইয়াছি; কতকটা সফল হইয়াছি বলিয়া মনে হয়; তবে ঠিক মনের মতনটা যে হইয়াছে, এমন বলিতে পারিব না; যাহা হইয়াছে, তাহা পাঠকের ষে একান্ত অপ্রীতিকর হইবে না, এ ভরসা করিতে পারি। এবারও দুই-চারিটি ভুলভ্রাত্তি আছে। ভুলভ্রাস্তি লইয়া সংসারে আসিয়াছি,ভুল্ভ্রান্তি লইয়া যাইতে হবে। কবে -কোথায় কে বা কি নিভুল হইয়াছে? তবে এটা ঠিক, “ভবতি বিজ্ঞতমঃ ক্রমশো জন:।” আমি অবশ্য “বিজ্ঞতমে”র তম রাখিতে পারি না, তবে যদি ইহার পুনঃসংস্করণ এ জীবনে সংঘটিত হয়, তাহা হইলে ভুলভ্রান্তি সম্বন্ধে মা্নুষের পক্ষে সাবধান হওয়া যতটুকু সম্ভব বা সাধ্য, তৎপক্ষে যত্নশীল হইতে ত্রুটি করিব না, এখন ইহাই মাত্র বলিয়া রাখিতে পারি। কেহ ইহার ভুল- ভ্রান্তি দেখাইয়া দিলে বা বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে কোন তথ্যের উল্লেখ করিয়া পাঠাইলে, তাহার জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা, শুধু আমার জীবনে নহে, আমার বংশানু ক্রমিক জীবনে অনুলিপ্ত হইয়া রহিবে। এখন সুধী পাঠকবর্গ আমার “বিদ্যাসাগর” পাঠ করিলে, আমি কৃতার্থ হইব।
চতুর্থ সংস্করণের বিজ্ঞাপন
স্বর্গীয় মহাশ্মা বিহারীলাল সরকার মহাশয়ের বিদ্যাসাগ-জীবনীয় ৪র্থ সংস্করণ প্রকাশিত হইল। বড়ই আক্ষেপের বিষয়, শ্রদ্ধাভাজন বিহারীবাবু তাহার বড় সাধের বর্তমান সংস্করণের প্রকাশ ভার আমার প্রতি অৰ্পণ করিয়া এই গুরুতর কার্য সম্পন্ন হইবার ব্বেই আমাদিগকে শোক-সাগরে ভাসাইয়া অমরধামে গমন করিষ্যছেন।
এই সংস্করণে বিদ্যাসাগরের অঙ্গ-সৌষ্ঠব সম্পাদনে তাহার সম্পূর্ণ ইচ্ছা ছিল। যথাস্থানে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করিয়া যাতে “বিস্কাসাগর” সৰ্বসাধারণের আদরণীয় হয়, তদ্বিষয়ে তিনি প্রস্তুত হইয়াছিলেন এবং আমাকে উপদেশ দান করিয়াছিলেন। কিন্তু বিধির বিধানে সঁহার লোকান্তরের কারণ সেই সাধু সঙ্কল্প কার্যে পরিণত হইতে পারে নাই। স্থানে স্থানে সামান্য যাহা পরিবর্তিত হইয়াছে, তাহা বিহারীবাবু নিজেই তাহার জীবিতাবস্থায় করিয়া গিয়াছিলেন। যথোপযুক্ত পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করিয়া সৰ্বাঙ্গ সুন্দরভাবে এখনি প্রকাশ করিবার জন্যই বিহারী বাবু আমাকে এই কার্যের ভার প্রদান করেন, কিন্তু হায়, তাঁহার মৃত্যুতে সেই কার্য অসম্পই হিয়া গেল।
বিদ্যাসাগর মহাশয়ের জীবনের একটা প্রধান কাজ বিধবাবিবাহ প্রচলন, তাহা সৰ্ববাদী সম্মত না হইলেও সেই সম্বন্ধে বিদ্যাসাগর মহাশয় ও অপবাপর শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতমশী যে বিচার ও গবেষণা করিয়া গিয়াছেন,তাহার বিস্তারিত ভাবে আলোচনাপূর্ণ মন্তব্য পাঠ করিতে আজকাল অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া থাকেন। বিহারী বাবুর অভাবে তাহার গ্রন্থ মধ্যে ঐ বিষয়ের সমালোচনার সম্ভাবনা না থাকায় পাঠকগণের সন্তুষ্টির জন্য পরিশিষ্টে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিধবাবিবাহ নামক সম্পূর্ণ গ্রন্থখানি সন্নিবিষ্ট হইল। সুধীগণ তাহা পাঠ করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পাণ্ডিত্য ও বিচার-কুশলতা দেখিয়া মুগ্ধ হইতে পারিবেন এবং সাধারণ পাঠকগণও বিধবাবিবাহ সম্বন্ধে স্বয়ং চিন্তা করিতে সক্ষম হইবেন। এই সংস্করণে গ্রন্থখানার বিশেষ উৎকর্ষ সাধন করিতে না পারিলে ও ছাপা, কাগজ ও বাধাই ইত্যাদি সম্বন্ধে যত্ন, চেষ্টা ও ব্যয়ের কোনটী কুটা করা হয় নাই। এক্ষণে পাঠকগণের সহানুভূতি পাইলেই এম সফল বোধ করিব। উপসংহারে আর একটা কথা উল্লেখ করা কর্তব্য মনে করি।
কলিকাতা ৬২নং আমহার্ষ্ট স্ট্রীট্স্থ মেসার্স পুরুষোত্তম কোম্পানীর প্রোপ্রাইটার শ্রীযুক্ত বাবু রাজকুমার ভট্টাচার্য মহাশয় বিদ্যাসাগরের জন্ধু সমস্ত কাগজ সরবরাহ না করিলে, ইহা প্রকাশ করিতে কত যে বিলম্ব হইত, তাহা বলা যায় না। তিনি কাগঞ্জ প্রদান করিয়াই নিশ্চিন্ত হন নাই, ইহার মুদ্রণেও যথেষ্ট সাহায্য করিয়াছেন। ক্স আমি তাহার নিকট চিরকৃতজ্ঞ রহিলাম। ফলতঃ বর্তমান সংস্করণে শ্রদ্ধাষ্প রাজকুমার বাবুই এই গ্রন্থের প্রকাশক, আমি উপলক্ষ মাত্র।
শাস্ত্রপ্রকাশ কার্যালয়
১৫নং হরীতকী বাগান লেন,
কলিকাতা। ১৯২২।
|
|
হরিপদ চট্টোপাধ্যায়। |
সূচিপত্র।
—⦂◦⦂—
১—১৩ |
জন্মস্থান, পূর্ব্ব-বংশ, পিতৃ-পরিচয়, মাতৃ-পরিচয়, পিতামহ-মাহাত্ম্য, মাতৃ-ব্যাধি ও গর্ভ-লক্ষণে জ্যোতিষী |
১৪—২৮ |
জন্ম, কোষ্ঠি-বিচার, পাঠশালার শিক্ষা, পাঠশালায় প্রতিভা, বাল্য-চাপল্য, বাল্য-প্রতিভা, কলিকাতায় আগমন, পীড়িত অবস্থায় প্রতিগমন, পুনরাগমন ও শিক্ষার ব্যবস্থা |
২৮—৫০ |
সংস্কৃত-কলেজে প্রবেশ, সংস্কৃত-কলেজের উদ্দেশ্য ও প্রতিষ্ঠা, তাৎকালিক শিক্ষার ব্যবস্থা, ভবিষ্যৎ আভাস, ব্যাকরণশিক্ষা, কলেজের অধ্যাপক, বেতন-ব্যবস্থার ফল, পিতার শাসন, ব্যাকরণে প্রতিপত্তি ও পুরস্কার, একগুঁয়েমি, অধ্যয়ন ও অধ্যবসায়, কাব্যের শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য-কঠোরতা এবং ব্যাকরণ ও কাব্যের শিক্ষাফল |
৫১—৭৫ |
বিবাহ, শ্বশুরের পরিচয়, অলঙ্কারে প্রতিষ্ঠা, দয়া, সখ্ ও শ্রম |
৭৬—৮৭ |
স্মৃতিতে প্রতিষ্ঠা, পিতৃভক্তির পরিচয়, বেদান্তপাঠ, পিতৃঋণে কষ্ট, ন্যায়দর্শনে প্রতিষ্ঠা, ব্যাকরণের অধ্যাপকতা, পাঠসমাপ্তি ও প্রশংসাপত্র |
৮৮—৯৪ |
সংস্কৃত রচনা, পরীক্ষার ব্যবস্থা, পরীক্ষার রচনা, অনুরোধে রচনা, স্বেচ্ছায় রচনা ও আমাদের বক্তব্য |
৯৫—১১০ |
কার্য্যাভাস, চাকুরিতে প্রবেশ, সাহেবের গুণগ্রাহিতা, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ, ইংরেজি শিক্ষা, অক্ষয়কুমার দত্তের সহিত পরিচয়, মহাভারত-অনুবাদ ও অধ্যাপনা-প্রণালী |
১১১—১৩৬ |
প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, বাঙ্গালা চিঠি, শিক্ষা-বিভাগের পরিবর্ত্তন, পিতার কার্য্য-ত্যাগ, বাসার অবস্থা, সহৃদয়তার পরিচয়, প্রতিশ্রুতি-পালন, চলচ্ছক্তির প্রমাণ, বীরসিংহে কৌতুক, দুর্ব্বলে দয়া, মাতৃভক্তি, সংস্কৃত-রচনা, তেজস্বিতা, পদ-পরিবর্ত্তন ও গুণগ্রাহিতা |
১৩৭—১৫৮ |
বাসুদেব-চরিত ও সাহিত্য-সন্ধান |
১৫৯—১৮০ |
প্রতিপত্তি-পরিচয়, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের কার্য্য-ত্যাগ, সংস্কৃত কলেজের আসিষ্টাণ্ট সেক্রেটারীর পদে নিয়োগ, কলেজের সংস্কার, তেজস্বিতা, গুণগ্রাহিতা, ভ্রাতৃবিয়োগ, কলেজের কার্য্য ত্যাগ ও সখের কাজ |
১৮১—১৮৮ |
বেতালপঞ্চবিংশতি, সংস্কৃত-যন্ত্র ও কবি-প্রীতি |
১৮৯—১৯৭ |
বাঙ্গালা ইতিহাস, দুর্গাচরণের পরিচয়, ফোর্ট উইলিয়ম কলেজে পুনঃপ্রবেশ, ইংরেজি লিপিপটুতা, শুভকরী, জুনিয়র সিনিয়র পরীক্ষা, গুণবানের পুরস্কার, পুত্রের জন্ম ও ভ্রাতৃবিয়োগ |
১৯৮—২০৪ |
সাহিত্যাধ্যাপকতা, কৈফিয়ৎ, তর্কালঙ্কারের পত্র, রিপোর্ট ও জীবন-চরিত |
২০৫—২৩৪ |
রসময় দত্তের কর্ম্মত্যাগ, বিদ্যাসাগরের প্রিন্সিপালপদ, কার্য্যব্যবস্থা, ছাত্র-প্রীতি, কায়িক দণ্ড-বিধানের নিষেধাজ্ঞা, রহস্যপটুতা, শিরঃপীড়া, বিডন স্কুলের সম্বন্ধ ও বোধোদয় |
২৩৫—২৫০ |
সংস্কৃত কলেজে শূদ্র-ছাত্রগ্রহণের ব্যবস্থা, কলেজের বেতনব্যবস্থা, উপক্রমণিকা ব্যাকরণ, বীরসিংহে ডাকাইতি, আত্মরক্ষার কৈফিয়ৎ, ডাকাইতির কারণ, নীতিবোধের রচনা, ঋজুপাঠ ও কৌমুদী ব্যাকরণ, শিক্ষাপ্রণালীর পরিবর্ত্তন, পাঠ্য-প্রণয়ন-সভা, বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যলায়, বেতনবৃদ্ধি ও বিদ্যালয়ের ব্যয় |
২৫১—২৬০ |
স্কুল-ইন্সপেক্টরী পদপ্রাপ্তি, নর্ম্মাল স্কুল, সফরে সহৃদয়তা, মাতৃনামে উচ্ছ্বাস, জননীর দয়া, অনুগত-পালন, বন্ধুর আদর, সংগ্রহে আগ্রহ, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব, দানপদ্ধতি, সংস্কৃত কলেজে ইংরেজির প্রসার ও শকুন্তলা |
২৬১—২৭৬ |
বিধবা বিবাহ |
২৭৭—৩৩২ |
বর্ণপরিচয়, চরিতাবলী, বিশ্ববিদ্যালয়, হেলিডের নিকট প্রতিষ্ঠা, ইয়ঙ সাহেবের সহিত মতান্তর ও পদত্যাগ |
৩৩৩—৩৪৩ |
স্বাধীন জীবনের আভাস, ওকালতীর প্রবৃত্তিত্যাগ, পিতামহীর মৃত্যু, পিতামহীর শ্রাদ্ধ, মন্ত্রগ্রহণে অপ্রবৃত্তি, আচার-অনুষ্ঠান, সংস্কৃত যন্ত্র ও ডিপজিটরী, পরোপকার ও উপকারে অকৃতজ্ঞতা |
৩৪৪—৩৫৪ |
বিধবা-বিবাহে ঋণ, বিধবা-বিবাহ নাটক, দান-দাক্ষিণ্য, ইংরেজি স্কুল, কৃতজ্ঞতা, হিন্দু পেট্রিয়ট, সোমপ্রকাশ, বর্দ্ধমানরাজের সহিত ঘনিষ্ঠতা, সোমপ্রকাশে বিদ্যাভূষণ ও সংবাদপত্রের সংক্ষিপ্ত বিবরণ |
৩৫৫—৩৬৭ |
মহাভারতের অনুবাদ, সীতার বনবাস, অমায়িকতা, যৌবনের বিক্রম, গুরুভক্তি, রাজা ৺ঈশ্বরচন্দ্র, মধুরে-কঠোরে, রমাপ্রসাদ রায় ও আর্ত্ত-ত্রাণ |
৩৬৮—৩৭৬ |
মাইকেল মধুসূদন |
৩৭৭—৩৮৩ |
অধমর্ণের ব্যবহার ও অযাচিত দান |
৩৮৪—৩৮৮ |
পুনরায় কার্য্য প্রার্থনা, ওয়ার্ডস্ ইন্ষ্টিটিউসন ও শাস্ত্রীয় ব্যবস্থা |
৩৮৯—৪০৪ |
মেট্রপলিটন |
৪০৫—৪১২ |
বেথুনে নরম্যাল, বেথুনে মিস্ পিগট্, পিতার কাশীবাস, প্রসন্নকুমার ও দুর্ভিক্ষ |
৪১৩—৪২২ |
রাজা প্রতাপচন্দ্র, রাজপরিবার, অবাধ সাক্ষাৎ, অনাহুতের অত্যাচার, দেবোত্তর সম্পত্তি, দারুণ দুর্ঘটনা ও পরিবারিক পার্থক্য |
৪২৩—৪৩৬ |
ভ্রাতার অভিমান, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, রাজা রাধাকান্ত, হিন্দু পেট্রিয়টে পত্র, জ্যেষ্ঠ কন্যার বিবাহ, রামগোপাল ঘোষ, সারদাপ্রসাদ, ঘাঁটাল স্কুল, রাণী কাত্যায়নী, ইন্কম ট্যাক্স ও হরচন্দ্র ঘোষ |
৪৩৭—৪৪৭ |
ছাপাখানার স্বত্ব, মনোবেদনা, হোমিওপ্যাধিক চিকিৎসা, বর্দ্ধমানে বিদ্যাসাগর, ঋণের জন্য ঋণ ও বিধবাবিবাহে লাঞ্ছনা |
৪৪৮—৪৫৭ |
পাচকের অপরাধ, বর্দ্ধমানে ম্যালেরিয়া ও দানে কৌতুক |
৪৫৮—৪৬৩ |
ভ্রান্তিবিলাস, রামের রাজ্যাভিষেক ও ভাষাচর্চ্চা |
৪৬৪—৪৭০ |
গৃহদাহ, ছাপাখানা বিক্রয়, মেঘদূত, দেশত্যাগ, সত্যরক্ষা, ডাক্তার দুর্গাচরণ, বিষয়রক্ষা, ডাক্তার সরকার, মহারাজ মহাতাপ চাঁদ, সভায় সাহায্য ও পুত্রের বিবাহ |
৪৭১—৪৮২ |
কাশীতে জননী, মাতৃবিয়োগ, পিতৃসেবা, কাশীর কার্য্য, হিন্দু উইল, রাজা সতীশচন্দ্র, রাণী ভুবনেশ্বরী, উত্তর চরিত ও অভিজ্ঞান শকুন্তল নাটক |
৪৮৩—৪৯২ |
পাদরী ডল, কেশবচন্দ্র সেন, রাজনারায়ণ বসু ও রামকৃষ্ণ পরমহংস |
৪৯৩—৪৯৭ |
বহুবিবাহ |
৪৯৮—৫০৩ |
দ্বিতীয় কন্যার বিবাহ, পুত্রবর্জ্জন ও আনুইটি ফণ্ড |
৫০৪—৫১২ |
স্বাধীন মত, জামাতার মৃত্যু, দুহিতা, দৌহিত্র ও মেট্রপলিটনের শাখা |
৫১৩—৫১৭ |
পাদুকা-বিভ্রাট |
৫১৮—৫২৬ |
কলেজ প্রতিষ্ঠা, মসীযুদ্ধ, দৈনিকের মত, আয়হ্রাস, সাঁওতালে সহানুভূতি, রহস্য-রস ও অনারেবল দ্বারকানাথ |
৫২৭—৫৪১ |
কন্যার বিবাহ, উইল ও সাক্ষ্য-বাক্য |
৫৪২—৫৭৫ |
কলেজে জামাতা, পিতৃবিয়োগ, কন্যার বিবাহ, বসতবাড়ী, অসুখে প্রবাস, উপাধি, বি, এ, ক্লাস, নিয়মে নিষ্ঠা, বি, এর ফল, কানপুরে প্রবাস, ছাপাখানার শেষ, ঋণশোধে সাধুতা, ঠাকুর বাড়ীর বিবাদ, মতান্তরের ফল, সিবিলিয়ান রমেশচন্দ্র, কলেজ বাড়ী, পত্নীবিয়োগ, পত্নীচরিত্র, জামাতার পদচ্যুতি, কলেজের ভার, গুরুদাস বাবু, বীরসিংহের পত্র, ভগবতী বিদ্যালয় |
৫৭৬—৫৮৭ |
পীড়াবৃদ্ধি, ফরাসডাঙ্গায় প্রবাস, দয়া, সহৃদয়তা, সহবাস-সম্মতি আইন, রাজনীতির আলোচনা, পীড়ার অবস্থা ও দেহান্তর |
৫৮৮—৬০০ |
শেষ |
৬০১—৬০৩ |
শোক |
৬০৪—৬১২ |
চরিত্রচর্চ্চা |
৬১৩—৬১৭ |
জীবনান্তে আলোচনা |
৬১৮—৭২৫ |
এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।