আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

আজাদী সৈনিকের ডায়েরী
অজ্ঞাত অনূদিত

আজাদী সৈনিকের ডায়েরী

আজাদী

সৈনিকের ডায়েরী

লেফট্‌ন্যাণ্ট এম্. জি. মুল্‌কর, বি-এ

(ইণ্ডিয়ান ইণ্ডিপেণ্ডেস্ লীগ ও আই-এন্-এ সংক্রান্ত

কার্য্যাবলীর স্বাধীনতা যােদ্ধার রােজনামচার বঙ্গানুবাদ)

ওরিয়েণ্টাল এজেন্সী

২বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলিকাতা

১৩৫২

প্রকাশক—এস, কে, আচার্য্য, বি-কম্

ওরিয়েণ্টাল এজেন্সী

২বি, শ্যামাচরণ দে স্ট্রীট, কলিকাতা
প্রিণ্টার—বলদেব রায়

দি নিউ কমলা প্রেস

৭।২, কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রীট, কলিকাতা

ভূমিকা

 লেফট্‌ন্যাণ্ট এ. জি. মুলকর্ রেঙ্গুনের অধিবাসী এবং জাপান কর্ত্তৃক ব্রহ্মদেশ বিজয়কালে রেঙ্গুনে ছিলেন। তাঁহার পিতা পর্ত্তুগীজ ভারতের গোয়া হইতে রেঙ্গুনে বাস করিয়াছিলেন এবং রেঙ্গুনে তাঁহার ব্যবসায় ছিল। তিনি শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট এবং সুলেখক।

 রেঙ্গুনের পতনের পর লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট মুলকর ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করেন এবং শেষ পর্য্যন্ত ইহাতে অংশগ্রহণ করিয়াছিলেন। এই কয়েক বৎসরের বিবরণ তিনি প্রতি দিন তাঁহার ডায়েরীতে লিখিয়া রাখেন। আজাদ হিন্দ্ বাহিনীর বিপর্য্যয়ের পর ভারতে প্রত্যাগমনকালে তাঁহার সমস্ত জিনিষপত্র নষ্ট হইয়া যায়,কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে রোজনামচার অধিকাংশই রক্ষা পাইয়াছে।

 মূল ডায়েরীর মধ্যে লেখকের অনেক ব্যক্তিগত বিবরণ ছিল। যে সকল ঘটনার মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রাম সংক্রান্ত বিশেষ কোন সংবাদ নাই অথবা যাহা সাধারণের পক্ষে চিত্তাকর্ষক হইবে না তাহা পরিত্যক্ত হইয়াছে। জাতীয় বাহিনীর সৈনিকদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের একটি সুন্দর চিত্রও এই ডায়েরী হইতে পাওয়া যায়।

 রেঙ্গুনের পতন হইতে আরম্ভ করিয়া ব্যাঙ্ককে রাসবিহারী বসু কর্ততৃক ইণ্ডিয়ান্ ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগ্ গঠন, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সিঙ্গাপুরে আগমন এবং আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা, আজাদ হিন্দ্ বাহিনীর আরাকান, মনিপুর ও কোহিমা রণাঙ্গনে বীরত্বের কাহিনী, মনিপুর ও কোহিমায় স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা এবং শেষে বিপর্য্যয় ও নেতাজীর রেঙ্গুন ত্যাগের মর্ম্মস্পর্শী বিবরণ এই ডায়েরী হইতে পাওয়া যায়। এই ডায়েরীতে অপূর্ব প্রকাশিত বহু বিবরণ আছে। দিল্লীর বিচারকালে সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং যে সকল সৈনিক ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিতেছেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত তাঁহাদের বর্ণনা হইতে আমরা এ পর্য্যন্ত নেতাজীর স্বাধীনতা সংগ্রামের সামান্যমাত্র অসম্পূর্ণ বিবরণ পাইয়াছি। লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট মুলকরের ডায়েরী হইতে প্রথম এই সংগ্রামের একটি ধারাবাহিক বর্ণনা পাওয়া গেল। আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের নেতৃবৃন্দ এবং রাসবিহারী বসু ও নেতাজী সুভাষচন্দ্রের সহিত সংস্পর্শে আসিবার সুযোগ লেখকের হইয়াছিল, এইজন্য এই ডায়েরীর মূল্য খুব বেশী। লেফ্‌ট্‌ন্যাণ্ট মুলকরের রোজনামচা ভারতের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনায় সাহায্য করিবে।

 প্রকাশক

সূচী

১৯৪১-৪২
  ১৭
  ১৮
  ২৪
  ২৮
  ৩১
  ৩৩
  ৩৫
  ৩৬
  ৩৮
  ৩৯
  ৪০
১৯৪৩
  ৪১
  ৪২
  ৪৩
  ৪৩
  ৪৪
  ৪৬
  ৪৬
  ৪৯
  ৫০
 
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সৈনিকদের প্রতি
 
৫০
  ৫২
  ৫৯
  ৬১
  ৬৩
 
মন্ত্রী সভা
   
৬৮
  ৭০
  ৭১
 
বৃটেন ও আমেরিকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা
 
৭১
  ৭১
  ৭৩
  ৭৮
  ৮০
  ৮১
  ৮৩
  ৮৪
  ৮৬
  ৮৬
  ৮৭
১৯৪৪
  ৮৮
  ৯০
  ৯১
  ৯১
  ৯৩
  ৯৫
  ৯৫
  ৯৬
  ১০০
  ১০১
 
নেতাজী ও জেনারেল কাওয়াবের সম্মিলিত ঘোষণা
  
১০১
 
মণিপুরে স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্ট প্রতিষ্ঠা
  
১০২
  ১০৪
  ১০৯
  ১১১
 
জি, টি, পাহাড়ে জল সরবরাহের ব্যবস্থা দখল
  
১১১
  ১১২
  ১১৩
  ১১৩
  ১১৩
  ১১৪
  ১১৭
  ১২০
  ১২১
 
হিটলারের সহায়তা
  
১২২
১৯৪৫
  ১২৮
  ১২৯
 
টউঙ্গগীতে বোমাবর্ষণ
  
১২৯
  ১২৯
  ১৩০
  ১৩১
  ১৩৮
  ১৩৯
 
বিপক্ষের ঘাঁটি বিজয়
  
১৪০
  ১৪০
 
নৈরাশ্যময় অবস্থা
  
১৪০
  ১৪৪
  ১৪৬

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত বলে অনুমান করা হচ্ছে কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।

বিঃদ্রঃ এই লেখা/রচনা/বইয়ের লেখকের মৃত্যুসাল কোনও তথ্যসূত্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। ভবিষ্যতে কোনো তথ্যসূত্র দ্বারা লেখকের মৃত্যুসাল সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে এলে, এই লেখকের রচনার প্রকৃত কপিরাইট অবস্থা যাচাই করা সম্ভব হবে। নতুন তথ্য অনুসারে এই বইটির কপিরাইট অবস্থা ভবিষ্যতে বিচার করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।