সুকুমার রায় সমগ্র রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড)/নানা নিবন্ধ
(পৃ. নানা নিবন্ধ)
এই পর্যায়ের প্রথম উনসত্তরটি প্রবন্ধ মাঘ ১৩২০ থেকে শ্রাবণ ১৩৩০ এই সাড়ে ন’ বছর ধরে “সন্দেশ'-এ প্রকাশিত সন্দেশের কিশোর-পাঠকদের কথা মনে রেখেই পত্রিকায় প্রয়োজনে এই লেখাগুলির জন্ম। তাই এর মধ্যে এমন অনেক বিষয় আছে তথ্যের দিক থেকে যার আজ আর কোনো মূল্য নেই। বলা বাহুল্য বিজ্ঞান ও চিন্তা জগতের তথা সামগ্রিকভাবে সময়ের অগতিই তার কারণ। তবু আজ থেকে পঞ্চাশ-আট বছর আগেকার কিশোর-মনের কৌতুহলের চেহারা কি ধরনের ছিল তার একটি ধারণা পাঠকরা এই নিবন্ধগুলির মধ্যে পাবেন। সেদিক থেকে এই রচনাগুলির একটি ঐতিহাসিকমূল্য অবশ্যই প্রাপ্য।
চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে কলকাতার পাতাল রেল প্রকল্পবিষয়ের বৈচিত্র্যের দিক থেকে অনেক কিছুই পাঠকরা এই নিবন্ধময় খুঁজে পাবেন, কিশোের-পাঠকদের কাছে যা কৌতুক ও কৌতুহল দুইই জোগাবে।
প্রবন্ধগুলি সন্দেশে প্রকাশিত কালানুক্রমেই বিন্যস্ত হল। শ্রাবণ ১৩৩০ সংখ্যার সন্দেশে প্রকাশিত ‘বুমেরাং’ নিবন্ধটি উহ্যনাম পণ্ডিত এই ছদ্মনামে প্রকাশিত হয়। সমস্ত নিবন্ধগুলির সঙ্গেই প্রকাশের তারিখ উল্লেখ আছে।
সন্দেশ-এর ‘পাঠ’ই এখানে যথাসম্ভব অবিকৃতভাবে অনুসরণ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই নিবন্ধের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক চিত্রও ছিল। সেগুলি প্রায় সমস্তই বিবর্ণ হয়ে যাওয়ায় ছবিগুলি দেওয়া সম্ভব হয় নি। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ছবিগুলির প্রসঙ্গে যে-সব কথা ছিল তা সম্পাদনার প্রয়োজন হয়েছে। পাঠের সঙ্গতি বজায় রাখার জন্যই এই ন্যূনতম সম্পাদনা অনিবার্য ছিল।
এই পর্যায়ের শেষ নিবন্ধ সুর্যের রাজ্য মুকুল পত্রিকায় আশ্বিন ১৩১৩ সংখ্যায় মুদ্রিত হয়েছিল। সম্ভবত এটি সুকুমার রায়ের প্রথম মুদ্রিত গদ্যরচনা। এই রচনা প্রকাশের সময় সুকুমারের বয়স ছিল প্রায় উনিশ বছর। স্বতন্ত্র সময়ের রচনা বলে কালানুক্রমে না দিয়ে এটি এই পর্যায়ের শেষে দেওয়া! ১৬৬ পৃষ্ঠার প্রবন্ধের শিরোনামে ‘বাড়ি’ স্থান ‘বড়ি’ হবে।